
প্রকাশিত: Wed, Mar 22, 2023 4:04 AM আপডেট: Thu, May 15, 2025 2:39 AM
খাতুনগঞ্জে কমেছে ছোলা ও ডালের দাম, পেঁয়াজের দর বেড়ে চলছে
অনুজ দেব: কয়েকদিন আগে ৮০-৮২ টাকায় বিক্রি হওয়া তানজানিয়ার ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৭৬ টাকায়। আগে ৮৮-৯০ টাকায় বিক্রি হওয়া ভালো মানের অস্ট্রেলিয়ান ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮২ টাকায়। আগে ৯০-৯২ টাকায় বিক্রি হওয়া মোটা মসুর ডাল ৮৭-৮৮, আগে ১৩০-১৩১ টাকায় বিক্রি হওয়া ভারতীয় চিকন মসুর ডাল ১২৮ এবং ১৩৪ টাকায় বিক্রি হওয়া দেশি মসুর ডাল ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা মটর ডাল ২ টাকা কমে গত কয়েকদিন থেকে ৬০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে।
রসুনের দাম নেমে আসে ১০৫-১০৭ টাকায় যা ২-৩ দিন আগেও বিক্রি হয়েছে ১২০-১২৫ টাকা। আদার দাম উঠানামার মধ্যে ছিল। এক মাস আগে ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হওয়া মিয়ানমারের আদা বিক্রি হচ্ছে ১০৮-১১০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম গত দুই মাস ধরে স্থিতিশীল থাকলেও গত এক সপ্তাহে আবারও উঠানামার মধ্যে ছিল। গত সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন ১-২ টাকা করে বেড়ে ৩-৫ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছিল। তবে সোমবার থেকে কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। মঙ্গলবার ভারতীয় নাসিক পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৩২ টাকা যা আগেরদিন সোমবারও একই দামে বিক্রি হয়েছে। অথচ গত তিনদিন আগে বৃহস্পতিবার এ জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৩-৩৫ টাকা এবং এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছিল ২৮-২৯ টাকা। দেশি পেঁয়াজ সোমবার ও মঙ্গলবার বিক্রি হয়েছে ২২-২৩ টাকা যা এর আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৪-২৫ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ (ফরিদপুর) ২৯ থেকে ৩০ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। গত সপ্তাহে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে, বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪২ টাকা।
চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ও সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা থেকে আমদানিকারকরা ছোলা এনেছেন। পাশাপাশি ভারত থেকে সড়কপথে বিপুল পরিমাণ ছোলা আমদানি হয়েছে যেগুলো মূলত তানজানিয়ার উৎপাদিত ছোলা। যে পরিমাণ ছোলা আমদানি হয়েছে বাজারে সে পরিমাণ ক্রেতা না থাকায় কমে গেছে ছোলার দাম। অন্যদিকে, মটর ও মসুর ডালসহ অন্যান্য ডালের দামও কিছুটা কমেছে। চাহিদার তুলনায় আমদানি বেশি হওয়ায় লোকসানের আশংকা করছেন ব্যবসায়ীরা। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব